সুশান্তের মৃত্যুতে মহেশ ভাটের এসোসিয়েট সুহিত্রা সেনগুপ্তের সাক্ষাত্কারে মিললো অনেক তথ্য

0
804

রবিবার দুপুরের একটা ঘটনা বলিউড জগতকে একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই পৃথিবী থেকে চিরকালের মতো বিদায় নেন সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)। সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো এমন একজন উজ্জ্বল মানুষ সুইসাইডের মতো পদক্ষেপ নিতে পারে, তা তাঁর পরিবারের লোকজন মানতে নারাজ।তবে এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা গেছে বহু জল্পনা। তবে এরই মধ্যে জনপ্রিয় পরিচালক মহেশ ভাটের ( Mahesh Bhatt) এসোসিয়েট সুহিত্রা সেনগুপ্ত অজানা কিছু দিকের ওপর আলোকপাত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন রকম আওয়াজ শুনতে পেতেন সুশান্ত।

সুহিত্রা সেনগুপ্ত ন্যাশনাল হেরাল্ড ইন্ডিয়া-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ”সুশান্ত সিং রাজপুত একবার ভাট সাহেবের অফিসে এসেছিলেন সড়ক ২ (Sadak 2) -এতে কাজ করতে চেয়ে। কথা বলতে খুব ভালোবাসতেন।যেকোনো টপিক নিয়েই কথা বলার ক্ষমতা রাখতেন উনি।ফিজিক্স হোক বা সিনেমা কোনও দিকেই পিছিয়ে ছিলেন না তিনি।তাঁর কথা শুনেই মহেশ ভাট বুঝে গেছিলেন, পরভীন ববির মতো অবস্থা হয়ে যাচ্ছে তাঁর। শুধুমাত্র ঔষধই পারে তাঁকে সুস্থ করতে। রিয়া যতদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁকে সময় মতো ঔষধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতেন, কিন্তু সুশান্ত নাকি ঔষধ খেতে রাজি হতেন না।”সুহিত্রা সেনগুপ্ত আরও বলেন, ”প্রায় এক বছর সুশান্ত বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিল। রিয়া চক্রবর্তী ওনার সঙ্গেই থাকতেন, কিন্তু তাঁর পক্ষেও আর বেশি দিন তাঁর সঙ্গে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না।কারণ, সুশান্ত নাকি বিভিন্ন রকম আওয়াজ শুনতে শুরু করেছিলেন। তাঁর মনে হতো কেউ তাঁকে মারার চেষ্টা করছে। একদিন রিয়া আর সুশান্ত তাঁর বাড়িতে বসে, অনুরাগ কাশ্যপের একটি সিনেমা দেখছিলেন। হঠাৎ-ই তিনি বলেন, আমি অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে কাজ করতে মানা করে দিয়েছি, এবার উনি আমাকে মেরে ফেলবেন। একথা শুনে রিয়া খুব ভয় পেয়ে যায়।”তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনা মহেশ ভাটের কানে আসতেই তিনি রিয়াকে তাঁর থেকে দূরে সরে যেতে বলেন।মহেশ ভাট রিয়াকে বুঝিয়েছিলেন, আর সে কিচ্ছু করতে পারবে না।বেশি দিন তিনিও  যদি তাঁর সঙ্গে থাকেন তাহলে এই ধরনের মানসিক বিকারের শিকার তিনিও হতে পারেন।রিয়া তারপরেই সুশান্তের বোনের আসার অপেক্ষা করেন, যাতে তাঁর বোন এসে তাঁকে সামলাতে পারে।