সুশান্তকে খুনের দায়ে সালমানের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

0
708

সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা মেনে নিতে পারছে না বলিউড। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। তার অকাল মৃত্যু হতবাক করে দিয়েছে সবাইকে।

এদিকে সুশান্তের আত্মহত্যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে হিন্দি সিনেমার আঙ্গিনা। অনেকেই সুশান্তকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সালমান খানের বিরুদ্ধে বিহারের মুজাফফরপুর আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে ১৮ জুন।

নেপোটিজমের অভিযোগ এনে একাধিক তারকার বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজেনরা। পরিচালক অভিনব কাশ্যপের সুরে সুর মিলিয়ে সালমানকে বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন অনেকে। ১৯ জুন সকালে সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটল সালমানের বান্দ্রার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে।

এদিন সকালেই সুশান্তের শহর পাটনায় সালমানের বিইং হিউম্যান স্টোরের সামনে বিক্ষভ প্রদর্শন করেন সুশান্তের ভক্ত-অনুরাগীরা। এবার সেই বিক্ষোভের আঁচ গড়াল মুম্বাইয়ে সালমানের বান্দ্রার বাসভবনের সামনেও। প্রয়াত অভিনেতা সুশান্তের পোস্টার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীরা ‘হায় হায় সালমান খান… মুর্দাবাদ সালমান’ বলে স্লোগান তোলেন।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে তৎপর হতে হয়েছে মুম্বাই পুলিশকে।

তবে বিক্ষোভ যতই হোক সালমানের বিরুদ্ধে ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের সদস্যরা কিন্তু সালমানের পাশে রয়েছেন। কারণ তিনি লকডাউনে দুস্থদের সেবায় দুই হাত খুলে অর্থসাহায্য করেছেন। সম্প্রতি একটি বিবৃতি জারি করে বিষয়টি জানিয়েছেন তারা।

অভিযোগ উঠেছে, সূরজ পাঞ্চোলির জন্য সুশান্তকে সালমান তার প্রযোজনা সংস্থা থেকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বলিউডের নাম করা ৫ প্রযোজনা সংস্থাও সালমানের সুরে সুর মিলিয়ে সুশান্তকে বয়কট করেছিলেন। এর ফলে সুশান্তের কাছে টেলিভিশন কিংবা ওয়েব সিরিজে কাজ করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

কেন এই ‘ষড়যন্ত্র’? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

অন্যদিকে, অনুরাগ কাশ্যপের ভাই তথা ‘দাবাং’ পরিচালক একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন সালমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তিনি তার ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার জন্য সলমন এবং তার ভাইদের নাম করে বয়কটের ডাক তুলেছিলেন। তোপ দেগেছেন সালমানের বাবা সেলিম খানের দিকেও। যার জেরে অভিনবের বিরুদ্ধে পালটা মামলা দায়ের করেছেন আরবাজ খান। তবে সালমান এখনো নিশ্চুপ।