শিল্পী সমিতির পাঠানো খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আবেগপ্রবণ প্রয়াত শিল্পীদের পরিবার

16
893

বিনোদন প্রতিবেদকঃ

জনজীবন থেকে শুরু করে বিনোদন দুনিয়ায় সবার স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। বন্ধ নির্মাতা-শিল্পীদের কাজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানবসভ্যতার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছে কোভিড-১৯। ঘরবন্দি শিল্পী ও কলাকুশলীদের বেহাল দশা।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কল্যাণে ঘরে বসেই তিন বেলা খাবার পাচ্ছেন অসহায় শিল্পীরা। সমিতি ঘোষণা দিয়েছে ‘যত দিন করোনা, তত দিন ঘরে বসেই খাবার পাবে শিল্পীরা।’ তবে বিপাকে প্রয়াত শিল্পীদের পরিবার। প্রয়াত মিজু আহমেদের মতো কিছু পরিবার সচ্ছল হলেও বেশিরভাগ পরিবারই অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে। এরই মধ্যে প্রয়াত শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। তাঁদের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। এসব সামগ্রী পেয়ে আবেগাপ্লুত প্রয়াত শিল্পীর পরিবার।

মিজু আহমেদ মারা যান ২০১৭ সালে। গতকাল তাঁর বাসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর পর হাতে পেয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন তাঁর স্ত্রী পারভীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা দুস্থ বা অসচ্ছল নই। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যা দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সবার মতোই আমরা ঘরবন্দি। হটাৎ করেই সমিতি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। আবেগে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। কারণ এটা কোনো দান নয়, এটা প্রয়াত শিল্পীর পরিবার হিসেবে সম্মান। শুধু এখনই নয়, প্রতি কোরবানির ঈদে মাংস পাঠানোর পরও আবেগতাড়িত হই। মারা যাওয়ার পর নাকি সবাই সব কিছু ভুলে যায়। তবে আমাদের মনে রেখেছে, এজন্য সমিতির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’

দুই বছর আগে প্রয়াত শিল্পী মুসলিম, সালাম ও বিপুলের পরিবার তেমন ভালো নেই। সালামের স্ত্রী বলেন, ‘সারা জীবন উনি চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে কাজ করে গেছেন। তবে টাকাপয়সা তেমন জমাতে পারেননি। উনি মারা যাওয়ার পর কোনোমতে সংসারটা আমি চালিয়ে যাচ্ছি। করোনার কারণে ঘরবন্দি, কর্মহীন জীবন বিষিয়ে উঠছিল। নীরবেই চোখের জল ফেলেছি। তবে ধন্যবাদ শিল্পী সমিতিকে। তারা আমাদের কথা স্মরণ রেখেছে। ঘরে পাঠাচ্ছে খাবার-সামগ্রী। সারা জীবন চলচ্চিত্র নিয়ে অহংকার করেছেন উনি। এখন আমার অহংকার হচ্ছে, উনি অভিনেতা ছিলেন।’

বিষয়টি নিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘মিজু ভাই আমাদের সমিতির সভাপতি ছিলেন। উনাকে দেখে অনেকেই শিল্পী হওয়ার জন্য এফডিসিতে এসেছেন। তাঁদের সম্মান জানানো, তাঁদের পরিবারের খবর রাখা আমাদের দায়িত্ব। সাহায্য নয়, করোনার এই সময় প্রয়াত শিল্পীদের পরিবার বিপাকে আছে। তাই সমিতি থেকে যা করণীয় তা-ই করছি। সবাই দোয়া করবেন, যেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা কাজ চালিয়ে যেতে পারি।’
এর আগে জরুরি চিকিৎসা দিতে মেডিকেল টিম গঠন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। চলচ্চিত্রের সব শিল্পী ফোন করেই নিতে পারছেন এই সেবা। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে সমিতির উদ্যোগে। প্রয়াত শিল্পীর পরিবারও এই সেবা পাবে বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।

16 COMMENTS

  1. 436150 827756Your post is truly informative. A lot more than that, it??s engaging, compelling and well-written. I would desire to see even more of these types of great writing. 777159

  2. 645894 529078Beging with the entire wales nicely before just about any planking. Our own wales can easily compilation of calculated forums those thickness analysts could be the related to some with the shell planking along with much more significant damage so that they project after dark planking. planking 681750

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here