মৃত্যু পর্যন্ত এই দিনটিকে ভুলবো না:জায়েদ খান

325
1991

ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়ক জায়েদ খান। অভিনয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ছিল এ নায়কের জন্মদিন।ঐ দিন দুপুরে বাবা মায়ের দোয়া নিয়ে জায়েদ খান জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত উত্তরার একটি স্কুলে যান। জন্মদিন উপলক্ষে জায়েদ খান এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ ও খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেন। জায়েদ খান ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে উত্তরার ফ্যামেলিজ ফর চিলড্রেনে এ খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।জায়েদ খানকে পেয়ে এ সকল শিশুরা ঈদ আনন্দে মেতে উঠে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক মারুফ আকিব ও জয় চৌধুরীসহ জায়েদ খান ফ্যান ক্লাব এর নেতাবৃন্দরা। ।প্রতিবন্ধী শিশুদের নিজেদের হাতে বানানো কার্ড উপহার দেন এই শিশুরা সঙ্গে জন্মদিনে জীবনের সেরা উপহারটিও পান জায়েদ খান।মৃত্যু পর্যন্ত এই দিনটিকে ভুলবো না।মোহাম্মদ সোহেল নামের এক চিত্রশিল্পী মাত্র দুই দিনে নিজ হাতে আঁকা ছবি জায়েদের জন্মদিন উপলক্ষে উপহার দেন। সোহেল ঢাকা আর্ট কলেজ থেকে অনার্স, মাস্টার্স শেষ করেছেন। সোহেলও একজন প্রতিবন্ধী। এখানেই সোহেল লালন-পালন হয়েছেন। সোহেল নিজের প্রতিভা এ সকল শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বর্তমানে কাজ করছেন।উপহার পেয়ে জায়েদ খান বলেন, সোহেলের পেইনটিং আমার জীবনের সেরা উপহার। এমন জন্মদিন কখনো পাইনি। সত্যিই আজ খুব গর্ববোধ হচ্ছে। ধন্যবাদ বিএফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিন আপাকে এমন একটা সুন্দর জায়গার খবর দেওয়ার জন্য। বিশেষ ধন্যবাদ সোহেল কে আমার জীবনের সেরা উপহার দেওয়ার জন্য। এই উপহার আমার রুমে সারা জীবন থাকবে। আজ যে উপহার গুলো পেয়েছি প্রতিটি উপহারই আমার জীবনের সেরা উপহার।তিনি বলেন, আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সব সময় এই সংগঠনের সাথে থাকবো। এখানে এসে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা কখনো ভোলার নয়। এ ভালোবাসা অনেক গভীর।শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের আনন্দে মাতাতে একটি গান কন্ঠে তুলেন জায়েদ খান। পৃথিবীর জন্ম যেদিন এ কথার জন্ম সেদিন, এ কথার কারণে পৃথিবীতে মানুৃষের আসা, এ কথার নামই ভালোবাসা। সবার জীবনে এ ভালোবাসা ছড়িয়ে থাকুক। এমন শিরোনামের গানটি সবার কাছে প্রসংশা পায় জায়েদ। সবাইকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য। করোনাকাল চলে গেলে সবাইকে এফডিসি ঘুরতে নিয়ে আসারও কথা জানান।

চলচ্চিত্রে জায়েদ খানের যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালে ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। মহম্মদ হান্নান পরিচালিত এই ছবিতে আরও অভিনয় করেন রিয়াজ ও শাবনূর। পরে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কাজের মানুষ’ এবং মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘মন ছুঁয়েছে মন’ ছবিতে অভিনয় করেন।

২০১২ সালে ‘আত্মগোপন’ ছবিতে শাবনূরের সঙ্গে জায়েদ খানকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায়। ২০১৫ সালে তিনি শাহ্ আলম মণ্ডল পরিচালিত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবিতে অভিনয় করেন। এই ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রযাত্রা শুরু করেন বর্তমান সময়ের আলোচিত নায়িকা পরীমনি।
২০১৭ সালে প্রযোজনায় নাম লেখান জায়েদ খান। তাঁর প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অন্তর জ্বালা’। মালেক আফসারী পরিচালিত এ ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন পরীমনি। দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয় ছবিটি। এছাড়া ২০১৯-২১ মেয়াদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন জায়েদ খান।

325 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here