‘মানি হেইস্ট’র প্রফেসরের আলভারো মোর্তের অজানা কিছু দিক

0
1183

বিনোদন প্রতিবেদক:

বিনোদন এখন ডিজিটাল কনটেন্টে রুপান্তরিত হয়েছে,তারই সুবাদে হাতের মুঠোই দেখতে পাচ্ছে মানুষ বিভিন্ন বিনোদনের উপকরণ।ওয়েবসিরিজ গুলো জমে উঠেছে তেমনই একটি ওয়েব সিরিজের নাম ‘মানি হেইস্ট’।

মানি হেইস্ট’র প্রফেসর চরিত্রে অভিনয় করে মন জয় করেছেন আলভারো মোর্তে।বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে স্প্যানিশ সিরিজ ‘লা কাসা ডি পাপেল’ যেটি পরে ইংরেজিতে ‘মানি হেইস্ট’ নামে প্রচার করে নেটফ্লিক্স। সিরিজের ‘প্রফেসর’ চরিত্রটি অসংখ্য মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। ‘মানি হেইস্ট’র প্রফেসর চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্প্যানিশ অভিনেতা আলভারো মোর্তে।

আলভারো মোর্তে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরুর প্রায় ২০ বছর পর স্পেনে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এর আগে, বেশ কিছু শর্টফিল্ম ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সাফল্যের মুখ দেখেন ২০১৭ সালে, ‘মানি হেইস্ট’-এ এল প্রফেসর চরিত্রে। এজন্য সেরা পুরুষ টেলিভিশন অভিনেতা হিসেবে ২০১৯ সালে ‘স্প্যানিশ অ্যাক্টরস ইউনিয়ন’ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

প্রফেসরকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। তার অজানা কিছু দিক তুলে ধরা হলো-

#তিনি ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফেরা মানুষ:
২০১১ সালে আলভারোর পায়ে একটি ক্যান্সারযুক্ত টিউমার পেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর যখন তিনি রোগের চিকিৎসার কথা ভাবেন, তখন তার মনে হয়েছিল যে, তিনি ৩ মাসে মারা যাবেন অথবা তার পা কেটে ফেলা হবে। আলভারো নানা চিন্তায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েন। তিনি ভাবতে থাকেন, সমাজের মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করছেন কিনা? তিনি সঠিক পথে চলছিলেন কিনা? ভাগ্যক্রমে তিনি চিকিত্সার মাধ্যমে বেঁচে ফেরেন। তবে তার শরীরে ক্যান্সারের প্রভাব এখনও রয়ে গেছে।

#তার যমজ সন্তান রয়েছে:
আলভারো মোর্তে পরিবারের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। তিনি এবং তার স্ত্রী ব্লাঙ্কা ক্লেমেন্টের যমজ দুটি মেয়ে রয়েছে। যদিও ব্যস্ততার কারণে পরিবারের সাথে অনেক বেশি সময় কাটাতে পারেন না আলভারো, যতটা তিনি চান।

#তিনি একটি থিয়েটার কোম্পানির মালিক:
ভালো অভিনেতার সাথে সাথে আলভারো একজন ব্যবসায়ীও। ২০১২ সালে তিনি এবং ব্লাঙ্কা একটি থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম ‘৩০০ পিস্তোলাস’ অর্থাৎ ‘৩০০ বন্দুক’।

#তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন:
বর্তমানে অভিনয় সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েই সদা ব্যস্ত সময় কাটে আলভারোর অথচ তিনি পড়াশোনা করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। তার পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল না অভিনেতা হওয়া। কিন্তু জীবনের সবকিছু তো হিসেব মতো হয় না। পেশাদার ইঞ্জিনিয়ার না হতে পারলেও প্রফেসর খ্যাতি তো ঠিকই মিলেছে!

#তিনি ছিলেন রিয়েল লাইফের একজন প্রফেসর:
যদিও মানি হেইস্টের চরিত্রের সাথে আলভারোর বাস্তবে জীবনের মিল নেই, তবে দু’জনের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল আলভারো বাস্তব জীবনেও একজন অধ্যাপক ছিলেন। কিছুদিনের জন্য তিনি ফিনল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

#তিনি মনে করেন ‘মানি হেইস্ট’ কোয়ারেন্টাইনে বিনোদন দিবে মানুষকে:
করোনা মহামারির কারণে বেশিরভাগ মানুষ এখন গৃহবন্দি। আতঙ্ক কাটিয়ে ঘরে থেকে বিনোদনের মধ্যে সময় পার করার জন্য ‘মানি হেইস্ট’কে একটি ভালো উপায় মনে করছেন তিনি। আলভারো একটি সাক্ষাত্কারে মানুষকে নিরাপদে থাকাতে বাসায় অবস্থানের পরামর্শ দেন। বলেন, এই সময়ে আপনারা ‘মানি হেইস্ট’ও দেখতে পারেন।

#‘মানি হেইস্ট’র সাফল্যে মিশ্র অনুভূতি ব্যাক্ত করেন আলভারো:
‘মানি হেইস্ট’ সিরিজে অভিনয় করে আলভারো অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এই শো তাকে অনেক নতুন সুযোগ দিয়েছে, তবে আলভারো এখনও বুঝতে পারছেন না এটি কীভাবে নেয়া উচিত। তিনি দ্যা হিন্দুকে বলেন, ‘সিরিজটি আমার ক্যারিয়ারের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছি, এই জন্য আমি আমার পরিবারকে এ থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করি।’

#তিনি তার চরিত্রগুলো বিশ্লেষণ করতে পছন্দ করেন:
বেশিরভাগ অভিনেতা তাদের অভিনয় করা চরিত্রগুলি পড়তে ভালোবাসেন তবে আলভারো এই বিষয়কে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পছন্দ করেন। এল প্রফেসর চরিত্রে অভিনয় করার সময় আলভারো বলেছিলেন, এই চরিত্রকে তিনি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।

# ‘মানি হেইস্টে’র টাকা থাকলে কী করতেন:
যদি মানি হেইস্টের ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই ভেবেছেন এতোগুলো টাকা দিয়ে কী করা যায়। আলভারো মোর্তেও একই বিষয় চিন্তা করেছেন। যদি সত্যি সত্যি ‘মানি হেইস্টে’র মতো টাকা তার থাকতো, তবে তিনি তা আরও ভাল কাজে ব্যয় করতেন। তিনি জানান, যদি তার কাছে এখন ওই পরিমাণ টাকা থাকতো তবে তিনি তা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের তহবিল অথবা শরণার্থীদের সহায়তায় ব্যবহার করতেন।

#তিনি স্পেনে থাকতে ভালোবাসেন:
সাফল্যের পর অনেকে নিজের বাসা থেকে দূরে কোথাও বিলাসবহুলভাবে থাকতে চান। কিন্তু আলভারোর এটি মোটেও পছন্দ নয়। তিনি স্পেনে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এখনও সেখানেই তার পরিবার নিয়ে বাস করছেন।