তারকাদের ভালবেসে বিয়ে থেকে বিচ্ছেদ, অতঃপর জীবন

372
2263

আনিফা আরশি:

রুপালী পর্দার তারকাদের প্রতি পাঠক ও ভক্তদের আগ্রহ একটু বেশিই। প্রিয় তারকারা কি করেন, কখন কোথায় যাচ্ছেন ইত্যাদি বিষয়ে জানার তুমুল আগ্রহ তাদের। শোবিজ তারকাদের দেখে সাধারণ দর্শক স্বপ্ন বুনেন। রঙিন পর্দার শিল্পীদের ‘আইডল’ মানেনও তারা। তাদের সর্বদা অনুকরণ করার চেষ্টা করেন। পর্দায় যারা প্রেম শেখান বাস্তব জীবনে তাদেরই প্রেম, সংসার টেকে না। তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় তারকাদের সাজানো সংসার। সাধারণ মানুষ শিল্পীদের রেখেছেন উচ্চতার জায়গায়। রেখেছে একটি স্বপ্নের জায়গায়। তবুও শিল্পীরা সংসার ভাঙার লীলা খেলায় মগ্ন।

দেশীয় শোবিজে নদী ভাঙনের মতোই দ্রুত গতিতে বাড়ছে সংসার ভাঙনের জোয়ার। একে অপরেকে ভালোবেসে, কথা দিয়ে জীবন পার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যখন সবাইকে জানিয়ে শুনিয়ে রাগ ঢাক পিটিয়ে বিয়ে করে। সেই বিয়েটা সাধারণ বিয়ে নয়। সেই বিয়েটা হয় আরেকটা অধ্যায়। তাদের বিয়েটা হয়ে যায় আমাদের সমাজের আলোচিত খবর। কোন কোন ক্ষেত্রে সেটি হয়ে যায় ‘টপ অফ দ্যা কান্ট্রি’। তেমনই তাদের বিবাহ পরবর্তী সংসার, তাদের ছেলে মেয়ে ইত্যাদি খবর জানতে পাঠক বা ভক্তরা প্রচন্ড আগ্রহী। আমাদের শোবিজ অঙ্কনে একে অপরে ভালোবেসে বিয়ে করা মানুষের সংখ্য নেহাত কম নয়। এমন অনেক উল্লেখযোগ্য তারকা শিল্পী রয়েছেন।

তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আলোচিত হুমায়ুন ফরিদী-সুবর্না মুস্তফা। সেই সময়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা একটা অধ্যায় ছিল। হুমায়ুন ফরিদী সদ্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সুবর্ণা মুস্তফা হচ্ছেন বাংলাদেশের অভিনয় শিল্পীর প্রতীকী গোলাম মুস্তফার কন্যা। সুবর্ণা মুস্তফার ব্যক্তিত্ব শিক্ষা সেই সময়ে সব মহলের কাছে আভিজাত্যর প্রতীক বলা যেতে পারে। তাদের যখন বিয়ে হয় সেই সময়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক খবর প্রকাশ হয়। হুমায়ুন ফরিদী নিঃসন্দে কাল উত্তীর্ণ জাদরেল অভিনেতা। ফরিদী ১৯৮৪ সালে সুবর্ণা মুস্তফাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতি দীর্ঘ ২৪ বছর একসঙ্গে সংসার করেন।

২০০৮ সালে সুবর্ণা ডিভোর্স দেন হুমায়ুন ফরিদীকে। এর পরপরই বিয়ে করেন তার বয়সের ১৪ বছরের ছোট নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদকে। দর্শকপ্রিয় অভিনেতা আলমগীর প্রথমে বিয়ে করেন গীতিকার খোশনুরকে। তাদের কন্যা সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। কিন্তু খোশনুরের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটিয়ে সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন আলমগীর। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৭৩ সালে প্রেম করে গুলতেকিনকে বিয়ে করে। তবে তাদের সংসার স্থায়ী হয়নি। ২০০৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। ২০০৫ সালে মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ে করেন।

চিত্রনায়িকা সুচরিতা প্রথমে বিয়ে করেন চিত্রনায়ক জসিমকে। তাদের মধ্যেও বিচ্ছেদ হয়। এরপর বিয়ে করেন প্রযোজক কে এম আর মঞ্জুরকে। কিন্তু দীর্ঘ ২৩ বছরের এ সংসারটিও টেকেনি। বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়ের দর্শকপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও নায়িকা দিতি ২০০১ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বেশি দিন টেকেনি এ সংসার। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের চিত্রনির্মাতা রিঙ্গোকে বিয়ে করেন শমী কায়সার। বিয়ের স্থায়িত্ব ছিল দুই বছর। চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের ছেলে নির্মাতা সোহেল আরমানের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেত্রী তারিন। বাবা-মায়ের অজান্তে পালিয়ে গিয়ে ২০০১ সালে তারিন বিয়ে করেন সোহেলকে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেঙে যায় সে সম্পর্ক।

অভিনেত্রী বিজরী বরকত উল্লাহ ও সঙ্গীত পরিচালক শওকত আলী ইমন একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ফুটফুটে সুন্দর এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু তাদের এ বিয়ে বেশি দিন টেকেনি। ডিভোর্স হয় তাদের। ২০০৭ সালে জাপান প্রবাসী তাসির আহমেদকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী অপি করিম। বছর না গড়াতেই ভেঙে যায় তাদের সংসার। অপি করিম প্রেম করে ফের বিয়ে করেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বলকে। কিন্তু এই বিয়েও বেশি দিন টেকেনি। তাদেরও ছন্দপতন হয়।

মিডিয়াপাড়ায় হিল্লোল-তিন্নির বিয়ে বেশ আলোচিত ছিল। এটাও ছিল ভালোবাসার বিয়ে। তবে এই তারকা দম্পতির সংসারও টেকেটি। একটি নাট্যদলে কাজ করতে গিয়ে আফসানা মিমির পরিচয় হয় নির্মাতা-অভিনেতা গাজী রাকায়েতের সঙ্গে। পরিচয়ের পর সখ্য। সময়ের ব্যবধানে সেই সখ্য গড়ায় প্রেমে। অতঃপর বিয়ে। কিন্তু বিয়েটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদ ঘটে আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েতের। নির্মাতা অমিতাভ রেজা বিয়ে করেন অভিনেত্রী জেনিকে। দীর্ঘ প্রেমের বিয়ে হলেও তাদের সংসার বেশি দিন টেকেনি।

জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমস ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেত্রী রথিকে। কিন্তু তাদের এ সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কিছু দিন না যেতেই ভেঙে যায় সংসার। সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী ও সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাদের ভালোবাসার সংসার শেষ পর্যন্ত টেকেনি। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ব্যান্ড তারকা পার্থ বড়ুয়া এবং অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। কিন্তু খুব বেশি দিন সেই প্রেম স্থায়ী হয়নি। মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মোজেজা আশরাফ মোনালিসা ২০১২ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফাইয়াজ শরীফের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের মাত্র দুই তিনদিন পরই শুরু হয় দু-জনের মধ্যে ভুল বুঝাবোঝি। শেষমেষ বিচ্ছেদ হয়। হৃদয় খান চার বছর প্রেম করে বিয়ে করেন সাত বছরের বড় সুজানাকে। অনেক সাধনার বিয়ে পারস্পরিক সমঝোতা না হওয়ায় বিচ্ছেদ হয় হৃদয়-সুজানার। শোবিজ জগতে আলোচিত বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে নাদিয়া ও শিমুলের জীবনে। নাদিয়া শিমুলকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ে করেন আরেক তারকা নাঈমকে।

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে বাঁধনের সঙ্গে মাশরুর সিদ্দিকী সনেটের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে বাঁধন ও সনেটের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিয়ের মাত্র চার মাসের মাথায় সংসার ভেঙে যায় পপ গায়িকা মিলা ও বৈমানিক পারভেজ সানজারির। ভালোবেসে ব্যবসায়ী সৌরভের সঙ্গে ২০০৬ সালে ঘর বেঁধেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী ন্যান্সি। সম্পর্কের টানাপড়েনের পর দুইজনের সম্মতিতেই বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। সংগীত শিল্পী আরেফিন রুমি প্রেম করে বিয়ে করেন কামরুন্নেসাকে। বিয়ে করার কয়েক মাসের মাথায় প্রথম স্ত্রী অনন্যার করা নারী নির্যাতন মামলায় কারাগারেও যেতে হয়েছিলো রুমিকে। এরপর বিভিন্ন শর্ত মেনে অনন্যার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স হয়ে যায় রুমির। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকেও ডিভোর্স দেন এই সংগীত তারকা। মডেল-অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া ও নির্মাতা রাফসান আহসান। বিয়ের দুই বছরের মাথায় বিচ্ছেদ হয় তাদের।

অভিনেত্রী নোভার সঙ্গে নাট্যপরিচালক, চিত্রগ্রাহক ও নাট্যকার রায়হান খানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা ২০১৪ সালের ব্যবসায়ী মাহিম করিমের সঙ্গে প্রেম করে হঠাৎ করেই বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছরের মাথায় সারিকার কোলজুড়ে আসে কন্যা সন্তান। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবনেও আসে বিচ্ছেদ। শোবিজের আলোচিত তারকা দম্পতি শখ ও নিলয়। ভালোবেসে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি শখ ও নিলয় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদেরও একই পথে হাটতে হয়। মার্চের ১২ তারিখ লকডাউন উপেক্ষা করে আবারও গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন শখ। ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি শিবলী সাদিকের সঙ্গে হঠাৎ করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কণ্ঠশিল্পী সালমা। কিছু দিন যেতে না যেতেই ভেঙে যায় তাদের সংসার।

শোবিজের আদর্শ দম্পতি বলা হতো সংগীতশিল্পী তাহসান খান ও অভিনেত্রী মিথিলাকে। ২০০৬ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহ বিয়ে করেন তারা। তারপর থেকে সুখে শান্তিতেই বসবাস করে আসছিলেন। তাদের সেই সংসারে এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। নাম আইরা তাহরিম খান। সব দেখে বলা হতো তারকাদের ঠুনকো দাম্পত্য জীবনের বিপরীতে তাহসান-মিথিলা দারুণ উদাহরণ। কিন্তু ভক্তদের মন খারাপ করিয়ে ২০১৭ সালের ২০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন শোবিজের এই দুই তারকা।

শাকিব-অপুর দাম্পত্য সম্পর্ক এখন অতীত। ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন তারা। সংসারও করেছেন, তাদের সন্তান পৃথিবীতে আলোর মুখও দেখেছে। তারপরও মাত্র ১১ বছরের মাথায় ডিভোর্স নামক শব্দটি দিয়ে তারা দুই ভুবনের বাসিন্দা হয়ে গেলেন। সব শ্রেণির মানুষ এমনকি তাদের দর্শক-ভক্তরাও এই ভাঙনে হতাশ। শাকিব-অপুর বিচ্ছেদকে কেউই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। একাত্রিক বিয়ের মিছিলে পিছিয়ে নেই আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিও। একেরপর এক বিয়ে, বিয়ের আগে বিচ্ছেদ এবং বেপারোয়া জীবন-যাপন। সর্বশেষ পরীমনির তিন টাকা কাবিনের নাটকীয় বিয়ে, অতঃপর ভাঙন।

ছোটপর্দার দর্শকপ্রিয় তারকা অপূর্ব ও প্রভা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু প্রভা বিয়ের আগে রাজিব নামক এক ছেলের সঙ্গে প্রেম ও অবাদ মেলামেশায় জড়িয়েছিলেন। অপূর্বর সঙ্গে প্রভার বিয়ের কিছুদিন পরে রাজিব ও প্রভার কিছু ভিডিও চিত্র ফাঁস হলে অপূর্ব ডিভোর্স দেন প্রভাকে। বিচ্ছেদের পর অপূর্ব নতুন সংসার বাঁধেন নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে। তবে দশ বছর সংসার করার পর ভেঙে যায় অপূর্বর দ্বিতীয় সংসারও। সম্প্রতি বিচ্ছেদ হয় চিত্রনায়িকা মুনমুনের। দ্বিতীয় স্বামী মীর মোশাররফ হোসেনকে ডিভোর্স দেন তিনি।

ভাঙা গড়ার মিছিলে পিছিয়ে নেই চিত্রনায়িকা জয়া আহসান-ফয়সাল, শাবনূর-অনিক, অভিনেত্রী সোহানা সাবা ও পরিচালক মুরাদ পারভেজ, মডেল অভিনেত্রী তিন্নি-আদনান হুদা সাদ, গায়ক-সংগীত পরিচালক ইবরার টিপু-ফারজানা মিথিলা, টিভি নাটকের পরিচিত মুখ শ্যামল মাওলা-নন্দিনী, জহির রায়হান-সুমিতা দেবী, সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী-শিল্পী সালমা আলী, নকীব খান-সামিনা চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ-মডেল, অভিনেত্রী রুনা। অভিনেতা সিদ্দিক-মডেল মারিয়া মিম, প্রয়াত তাজিন আহমেদ-পরিচালক এজাজ মুন্না, মডেল ও অভিনেত্রী রুমানা খান-নির্মাতা আনজাম মাসুদ, সাবিনা ইয়াসমীন-সংগীতশিল্পী কবির সুমন, ফোক সম্রাজ্ঞী খ্যাত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ এ পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করেছেন এবং ছন্দপতনও হয়েছে।

সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার-অভিনেত্রী চাঁদনী, মডেল ও অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা-ফারজানুল হক, ছোটপর্দার অভিনেত্রী নাদিয়া আফরিন মিম-সাফায়াত আলী চয়ন ও প্রসূন আজাদ। সংসার ভাঙার মিছিলে এছাড়াও অসংখ্য শোবিজ তারকা রয়েছেন। বেশির ভাগ তারকার সংসার ভাঙার পিছনে রয়েছে তৃতীয় ব্যক্তি। তবে সেই তৃতীয় ব্যক্তি থেকে যাচ্ছেন আড়ালেই। বিচ্ছেদের পর সবার মুখে শোনা যায় সকলের পরিচিত শব্দ ‘ব্যক্তিগত’ কারণ। তবে ভক্তদের প্রশ্ন সেই তারকাদের কাছে ‘ব্যক্তিগত’ কারণ কেন তারা ব্যক্তিগত রাখতে পারছেন না? কোনইবা প্রকাশ্যে ভাঙার খবর এনে ভেঙে দেন কোটি ভক্তের হৃদয়।

ভক্তরা প্রিয় তারকার সব কিছুই পছন্দ করে। প্রিয় তারকার কথা বলার ধরণ, ফ্যাশন স্টাইল থেকে শুরু করে জীবন-যাপন পযর্ন্ত প্রতিটি ধাপকে তারা ফলো করে এবং কেউ কেউ সেভাবে চলতে চেষ্টা করে। অনেকেই মনে করছেন তারকাদের এমন কাজ করা উচিত না যা তাঁদের ভক্তদের মধ্যে তাঁদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয় বা তারা কষ্ট পায়। কারণ, ভক্তরা তাঁদের প্রতিটি পদক্ষেপ দূরবীন দিয়ে দেখে এবং অনুসরণ করে। তাঁরা এটাও জানতেন, তাঁদের এমনও অসংখ্য ভক্ত রয়েছে, তাঁরা যদি সংসার ভেঙ্গে দেন, ভক্তরাও তাদের সংসার ভেঙ্গে দেবে, তাঁরা যদি একাধিক বিয়ে করেন, তারাও একাধিক বিয়ে করবে। একজন তারকার দোষ-গুণের প্রভাব ভক্তের ওপর যেমন পড়ে, তেমনি সমাজের ওপরও পড়ে। কাজেই তারকার ব্যক্তিগত বিষয় বলে কিছু নেই। থাকলে তা যথাযথভাবে মেইন্টেন করতে হবে। একান্ত ভাবেই যদি তা করতে না পারে, তবে বিনয়ের সাথে ভক্তদের সামনে তার যুক্তিযুক্ত কারণ তুলে ধরে বলতে হবে। ভক্ত বা অন্য কারো জীবনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে বা কেউ যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটান। এখানে তারকার ব্যক্তিগত জীবন বা বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তারকাদের দীর্ঘদিন গোপন প্রেম, বিয়ে, এমন কি গোপনে সন্তানের জন্মদান, তারপর এক সময় সব কিছু ফাঁস। কিছুদিন পরই ডিভোর্স। এটি চরম অবক্ষয় ছাড়া আর কিছুই নয়। একটি প্রশ্ন থেকেই যায় শোবিজ তারকাদের বিবাহ বিচ্ছেদ, ভবিষ্যত প্রজন্ম কি শিখবে? সংসার ভাঙার এই দীর্ঘ লাইন দেখে বিব্রত ও বিরক্ত শোবিজ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। তাদের মতে, তারকাদের বিচ্ছেদের সংস্কৃতি বেশ পুরানো। তবে সাম্প্রতিককালে তার হার বেড়েই চলেছে। যা খুবই দুঃখজনক। ভাঙনের এ সব খবর সমাজে বিরুপ প্রভাব ফেলছে। সম্পর্কের প্রতি যত্নবান ও দায়িত্বশীল হয়ে ঘর টিকিয়ে রাখতে তারকাদের আরো মনযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন মনস্বত্ববিদরা।

372 COMMENTS

  1. save us: we analyze assisted above lifelike ways (rickinson amitriptyline francis I will purchase percentages to the settling connector what plaquenil used for plaquenil immunosuppressant we posted that a thereby proper flagellum-deficient score, He, whilst seemed hotels inferring hypertrophy infections , I really company downstream hypertrophy loving the do amongst a rolling dehydration, .

  2. Magnificent web site. A lot of useful information here. I?¦m sending it to some pals ans also sharing in delicious. And certainly, thanks to your sweat!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here