জীবনের প্রথম পরিবার ছাড়া লকডাউন ঈদ- মিশা সওদাগর

0
1716

এম.ডি নাঈম হোসেন:

 

বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা শাহীদ হাসান মিশা (মিশা সওদাগর)। আট শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সাধারণত তিনি খলনায়ক হিসেবে পরিচিত চলচ্চিত্র দর্শকদের কাছে,গড়েছেনও অনেক সুনাম ও খ্যাতি।

পুরান ঢাকার সাতরোজায় আবুল হাসান রোডে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে শাহীদ হাসান হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে মিতার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবধ্য হন মিশা সওদাগর । এই দম্পতির দুই ছেলে সন্তান রয়েছে, বড় ছেলে হাসান মোহাম্মদ ওয়ালিদ ও ছোট ছেলে ওয়াইজ করণী।

স্ত্রী মিতু ও ছোটছেলে বড় সন্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে কাটাচ্ছেন। মিশার-মিতু দম্পতির বড় ছেলে ওয়ালিদ হাসান সেখানেই পড়াশোনা করেন। সময় পেলেই স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এই অভিনেতা।দির্ঘ ২৭ বছর পর প্রথম পরিবার ছাড়া ঈদ করবেন মিশা সওদাগর ।স্ত্রী মিতু সন্তানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। পরিবার দূরে রেখে এবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাথে ঈদ উযাপন করবেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন মিশা সওদাগর। কথা ছিল পরিবারের সবাইকে নিয়ে এইবার ঈদ করবেন। তা আর হল না। পরিবার ছেড়ে একা ঢাকাতেই ঈদ উযাপন করবেন তিনি।

প্রতিবাবের মত এবার আর বড় পর্দায় পাওয়া যাবে না মিশা কে।ঈদকে নিয়ে তেমন পরিকল্পনা নেই তাঁর। তিনি বলেন পরিবার ছাড়া ঈদ আর একটা সাধারণ দিন সব এক। মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে যাবেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে মেম্বারদের সঙ্গে করবেন কুশল বিনিময়।বিশ্ব জুড়ে চলছে মহামারি করোনা ভাইরাস। এই দূর্ভোগ সময়ে শিল্পীদের পাশে থেকে প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন সাথে আবার ঈদে বোনাস দিয়েছেন। করোনার মহামারিতে যেতে পারছেন না স্ত্রী সন্তানদের কাছে।

মিশা সওদাগর ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত চেতনা ও অমরসঙ্গী চলচ্চিত্র দুটিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন তিনি।পরবর্তীতে তমিজ উদ্দিন রিজভী পরিচালিত “আশা ভালবাসা” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন।

খলনায়ক চরিত্রে অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বস নাম্বার ওয়ান (২০১১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ খলচরিত্রে অভিনয়শিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
এছাড়া তিনি অল্প অল্প প্রেমের গল্প (২০১৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনয়শিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

তিনি এখন বাংলাদেশের অন্যতম সংঘটন ৪৪৯ জন সদস্য নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পর পর দুইবারের ভোটে নির্বাচিত সভাপতি।