আনিফা আরশি:
হলিউডের চলচ্চিত্র পরিচালকদের একটি তালিকা করা হলে একদম উপরের দিকে থাকা নামগুলোর মধ্যে জেমস ক্যামেরন যে থাকবেন এটা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। তবে বেশীরভাগ মানুষ তাকে শুধু পরিচালক হিসেবে চিনলেও তিনি কিন্তু তার থেকেও অনেক বেশী কিছু। কানাডিয়ান এই চলচ্চিত্র নির্মাতা একাধারে একজন প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ার। গভীর সমুদ্র নিয়েও তার অনেক কৌতুহল। নিজের বানানো সাবমেরিন দিয়ে সাগরের সবচেয়ে গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেঞ্চে ডুব দিয়ে এসেছেন। তিনি তার চলচ্চিত্রে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করেন সেগুলোকে একেকটা মাইলফলক হিসেবেও ধরা যায়। অসাধারণ উদ্ভাবনী শক্তি তার অ্যাকশনধর্মী ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীমূলক চলচ্চিত্রগুলোকে দিয়েছে নতুন মাত্রা।এখানেই কেটেছে জেমস ক্যামেরনের শৈশব
তার জীবনের গল্পটাও কিন্তু চিত্রনাট্যের মতোই অনেকটা।
জেমস ফ্রান্সিস ক্যামেরনের জন্ম ১৯৫৪ সালে কানাডার অন্টারিওতে। তার মা ছিলেন একজন আর্টিস্ট এবং বাবা ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তার পরিবার যখন ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে চলে আসে তখন তার বয়স ১৭ বছর। সেখানে তিনি ফুলারটন কলেজে ভর্তি হন পদার্থবিজ্ঞান পড়ার জন্য। কিন্তু সেখানে বেশীদিন টিকতে পারলেন না। এক বছর যেতে না যেতেই ড্রপ আউট হয়ে গেলেন কলেজ থেকে। স্কুলের ল্যাবে জেমস ক্যামেরন
এরপর ট্রাক ড্রাইভারের কাজ নিলেন তিনি এবং সময় পেলে মাঝে মাঝে লেখালেখিও করতেন একটু আধটু। পরে তিনি বলেছেন এই সময়টাই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ইউএসসি লাইব্রেরীতে নিয়মিত যেতেন এবং ফিল্ম টেকনোলজির সাথে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের বই কিংবা থিসিস পেপার পড়ে ফেলতেন বা খাতায় নোট করে রাখতেন। এই সময়টাতে তিনি অপটিক্যাল প্রিন্টিং, ফ্রন্ট স্ক্রীন প্রজেকশন কিংবা ডাই ট্রান্সফারের মতো বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেছেন যা তাকে পরবর্তীতে চলচ্চিত্র পরিচালনায় বিস্তর সাহায্য করেছে।
এরপর ১৯৭৭ সালে একটি ঘটনা তার জীবনকে পুরোপুরি পাল্টে দিল। ওই বছর মুক্তি পেল বিখ্যাত চলচ্চিত্র সিরিজ স্টার ওয়ার্স এর চতুর্থ কিস্তি এ নিউ হোপ (A New Hope)। ওই চলচ্চিত্র দেখে তিনি বুঝতে পারলেন শিল্প এবং বিজ্ঞান কতটা কাছাকাছি থাকতে পারে। এরপর ট্রাক ড্রাইভারের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ক্যামেরন ঝুঁকে পড়লেন চলচ্চিত্রের দিকে।
তিনি তার দুই বন্ধুকে নিয়ে জেনোজেনেসিস (Xenogenesis) নামে একটি ১০ মিনিটের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী স্ক্রিপ্ট লিখে ফেললেন। কিন্তু শ্যুট করার মতো যথেষ্ট টাকা তাদের হাতে নেই। শেষ পর্যন্ত বন্ধু-বান্ধবদেরকে নিয়ে চাঁদা তুলে ৩৩ মিলিমিটার ক্যামেরা, লেন্স, ফিল্ম স্টক এবং স্টুডিও ভাড়া করে ফেললেন। তারা ক্যামেরাটি পুরোটা খুলে এর বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করে দেখলেন এটা বোঝার জন্য যে ফিল্ম ক্যামেরা কীভাবে কাজ করে।বলা যায় জেমস ক্যামেরন ছিলেন জেনোজেনেসিস এর পরিচালক, লেখক, প্রযোজক এবং প্রোডাকশন ডিজাইনার। এরপর তিনি রক এন্ড রোল হাই স্কুল (Rock and Roll High School) নামে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন প্রোডাকশন সহকারী হিসেবে। কিন্তু এই কাজের জন্য কোনো স্বীকৃতি তিনি পাননি। তারপরও থেমে না গিয়ে চলচ্চিত্র বানানোর কায়দা-কানুন নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে লাগলেন। রজার কোরম্যান স্টুডিওতে একটি ক্ষুদ্রাকৃতির মডেল বানানোর কাজ শুরু করেন এই সময়টাতে। এরপর ১৯৮১ এবং ১৯৮২ এই দুই বছরে চারটি চলচ্চিত্রে আর্ট ডিজাইনার, প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন।
পিরানহা মুভির সিকুয়্যাল পিরানহা-২ তে কাজ করার জন্য ইটালির রোমে যান ক্যামেরন। সেখানে ফুড পয়জনিং এর কারণে একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় একদিন রাত্রে ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখলেন। দেখলেন ভবিষ্যৎ থেকে একটি রোবট পাঠানো হয়েছে তাকে খুন করার জন্য। এই স্বপ্ন থেকেই তিনি তার দ্য টারমিনেটর (The Terminator) চলচ্চিত্রের আইডিয়া পান। বলা যায় এখান থেকেই তার উত্থান শুরু হয়।
এখন পর্যন্ত জেমস ক্যামেরনের পরিচালিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা সাতটি। তার পরিচালিত কয়েকটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে তাহলে একটু জেনে নেওয়া যাক।
১. দ্য টারমিনেটর (১৯৮৪)ক্যামেরন দ্য টারমিনেটর (The Terminator) চলচ্চিত্রটির জন্য চিত্রনাট্য লিখে সেটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন যাতে ছবিটি পরিচালনা করতে পারেন। কিন্তু কোনো প্রোডাকশন কোম্পানী তার মতো একজন অনভিজ্ঞ লোককে এরকম একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করার দায়িত্ব দিতে রাজি হচ্ছিল না। শেষমেশ হেমডেল পিকচার্স (Hemdale Pictures) নামে একটি কোম্পানী তাকে পরিচালকের দায়িত্ব দিতে রাজি হলো। কিন্তু এই চলচ্চিত্রটি বানানোর জন্য বাজেট ছিল খুবই কম, মাত্র ৬.৫ মিলিয়ন ডলার। অবশ্য ক্যামেরন ততদিনে শিখে গেছেন কীভাবে কম বাজেটে দক্ষতার সাথে কাজ আদায় করে নিতে হয়।
টারমিনেটরের সেটে জেমস ক্যামেরন
এই সিনেমাটিতে টারমিনেটরের ভূমিকায় অভিনয় করেন আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার। ২০২৯ সাল থেকে তাকে অতীতে (১৯৮৪) পাঠানো হয়েছিলো সারা কনর নামে একজনকে হত্যা করার জন্য। কারণ সারা কনরের ছেলে একদিন যন্ত্রশক্তিদের বিরুদ্ধে মানব সমাজকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।
সবাই ভেবেছিল এটিও হবে আর আট-দশটা সাধারণ সায়েন্স ফিকশন মুভির মতো, যা হয়ত থিয়েটারে এক সপ্তাহের বেশী টিকে থাকতে পারবে না। কিন্তু তাদের সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে বক্স অফিস হিট হয় টার্মিনেটর। দুর্দান্ত অ্যাকশন দৃশ্য আর দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া কাহিনী দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহন করে। সেই সঙ্গে শোয়ার্জনেগারের অভিনয় ছিলো আক্ষরিক অর্থেই দেখার মতো। সারা বিশ্বে ৭৮ মিলিয়ন ডলারেরও বেশী আয় করে এই সিনেমাটি।
২. এলিয়েনস (১৯৮৬)ক্যামেরন ১৯৭৯ সালে রিডলি স্কটের এলিয়েন (Alien) সিনেমাটির একটি সিকুয়্যাল বানানোর কাজ শুরু করেন এবং এর নাম রাখেন এলিয়েনস (Aliens)।
সিনেমার প্রধান চরিত্র হচ্ছে এলেন রিপ্লে। এলেন রিপ্লেকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন সে দাবি করে এলিয়েনরা তাদের স্পেসশিপ ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং শিপের বাকি সবাইকে মেরে ফেলে। কিন্তুই কেউই তার কথা বিশ্বাস করে না। একটি কলোনীকে দায়িত্ব দেয়া হয় পুরো ব্যাপারটা তদন্ত করতে। কিন্তু কোনো এক কারণে তাদের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এলেন রিপ্লেকে পাঠানো হয় উদ্ধার অভিযানে। কিন্তু সে তখনো জানে না কি ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে তার সামনে। এভাবে এগিয়ে চলে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীমূলক এই অ্যাকশন হরর সিনেমার কাহিনী।
শ্যুটিং চলাকালীন সময়ে এলিয়েন সিনেমার কর্মকর্তাদের সাথে তার বনিবনা হচ্ছিল না। তারা মনে করতো জেমস ক্যামেরন রিডলি স্কটের মতো ভালো পরিচালক নন। এত ঝামেলার পরও সিনেমাটি বক্স অফিসে সফলতা পায়। এছাড়া বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরীতে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয় এলিয়েনস সিনেমাটি।
৩. দ্য অ্যাবিস (১৯৮৯)জেমস ক্যামেরন এই সিনেমাটির আইডিয়া পান তার হাই স্কুলের একটি বায়োলজি ক্লাস থেকে। একটি আমেরিকান সাবমেরিন ক্যারিবিয়ানে ডুবে গেলে উদ্ধারকারী একটি দল তেল কারখানার কিছু শ্রমিককে সাথে নিয়ে গভীর সমুদ্রে মিশনে যায়। গভীর সমুদ্রে তারা অদ্ভুত কিছু প্রাণীর সন্ধান পায়। এভাবে এগিয়ে যায় এই সিনেমার কাহিনী।
শুরুর দিকে এই সিনেমার বাজেট ছিল ৪১ মিলিয়ন ডলার যা দ্য অ্যাবিস (The Abyss)-কে ওই সময়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমাগুলোর একটিতে পরিণত করে। সিনেমাটির সেট তৈরী করার জন্য একটি অসমাপ্ত নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বিল্ডিং এবং দুইটি বিশাল সাইজের ট্যাংক ব্যবহার করা হয়েছিল। এছাড়া ওই সময়ে সিনেমাটিতে এমন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল যেটি হয়ত সম্ভব হয়েছে কেবল জেমস ক্যামেরনের কারণেই। ক্যামেরনের অন্য সিনেমাগুলোর তুলনায় এই সিনেমাটি অবশ্য তেমন ব্যবসা করতে পারেনি।
৪. টাইটানিক (১৯৯৭)টাইটানিক নিয়ে জেমস ক্যামেরনের ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ ছিল। একটা সময়ে এসে সিদ্ধান্ত নিলেন টাইটানিক ট্র্যাজেডির উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন। শুরু করলেন স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ। সিনেমাটি বানানোর আগে ক্যামেরন আটলান্টিকের তলদেশে সত্যিকারের টাইটানিকের ফুটেজ সংগ্রহ করেন যা পরবর্তীতে মূল সিনেমায় যোগ করা হয়।
টাইটানিক জাহাজে উচ্চবিত্ত সমাজের মেয়ে রোজের সাথে নিম্নবিত্ত সমাজের ছেলে জ্যাকের প্রেম এবং ১৯১২ সালে টাইটানিকের পরিণতির পটভূমিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের কাহিনীকে সাদামাটা বলা যায়। কিন্তু এই সিনেমার ভিজুয়্যাল ইফেক্ট অসাধারণ বললেও হয়তো কম বলা হয়। বিশেষ করে টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এজন্য তাকে স্কেল মডেলিং ও কম্পিউটার এনিমেশনের সাহায্য নিতে হয়েছে। চলচ্চিত্রটির প্রেমের গল্প আর প্রধান চরিত্রগুলো কাল্পনিক হলেও অনেকগুলো পার্শ্ব চরিত্র ঐতিহাসিক সত্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
টাইটানিক সিনেমার সেটে কেট উইন্সলেট এবং লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন জেমস ক্যামেরন
এই চলচ্চিত্র তৈরীতে মোট ব্যয় হয়েছিল প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৎকালীন সময়ে এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি। ক্যামেরনের প্রবল উচ্চাকাঙ্খার এটি একটি উদাহরণ। প্যারামাউন্ট পিকচার্স ও টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সকে যৌথভাবে এই অর্থের যোগান দিতে হয়েছে। বিশাল বাজেটের কারণে মুক্তির আগেই ক্যামেরন ও তার টাইটানিককে সমালোচনার শিকার হতে হয়। সমালোচকরা ধারণা করেছিলেন ফক্স এবং প্যারামাউন্ট বিশাল লোকসানের সম্মুখীন হবে।
কিন্তু টাইটানিক মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। কয়েক মাসের জন্য এটি বক্স অফিসের তালিকায় ছিল এক নম্বরে। পুরো বিশ্বজুড়ে টাইটানিক আয় করলো মোট ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সিনেমাটিকে তখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী উপার্জন করা সিনেমার তালিকায় স্থান দেয়। পরবর্তীতে অবশ্য জেমস ক্যামেরনেরই অ্যাভাটার সিনেমাটি টাইটানিকের আয়ের রেকর্ড ভেঙে দেয়। ১৪টির মধ্যে ১১টি ক্যাটাগরীতেই একাডেমি পুরস্কার বা অস্কার জিতে নেয় এই সিনেমাটি। জেমস ক্যামেরন পান সেরা পরিচালকের পুরস্কার। টাইটানিক সিনেমার জ্যাকের মতোই ক্যামেরন অস্কারের মঞ্চে উঠে বলেছিলেন, “I am the king of the world!”।
৫. অ্যাভাটার (২০০৯)পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ যার নাম প্যানডোরা। এই গ্রহের অধিবাসীদের বলা হয় নাভি, যারা দেখতে অনেকটা মানুষের মতোই। পৃথিবীর একদল লোভী মানুষ আর নিরীহ নাভীদের মধ্য এক অসম আর সাহসী যুদ্ধ নিয়েই গড়ে উঠেছে অ্যাভাটার (Avatar) সিনেমার কাহিনী।
সিনেমাটি বানানোর পরিকল্পনা ক্যামেরন করেছিলেন সেই ১৯৯৭ সালের টাইটানিক সিনেমার পর থেকেই। এরও আগে ১৯৯৫ সালে ৮০ পৃষ্ঠার একটি খসড়া স্ক্রিপ্টও লিখে ফেলেন সিনেমাটির জন্য। কিন্তু সিনেমাটি বানানোর জন্য যে প্রযুক্তি দরকার, তা ওই সময়ে ছিল না। প্যানডোরা গ্রহটির ডিজাইন থেকে শুরু করে সিনেমার প্রায় প্রতিটি অংশই কম্পিউটার এনিমেশনের সাহায্য নিয়ে করা। দ্য পোলার এক্সপ্রেস (The Polar Express) সিনেমাটিতে পরিচালক রবার্ট জেমেকিস পারফরম্যান্স ক্যাপচার টেকনিক ব্যবহার করেছিলেন। জেমস ক্যামেরন ব্যবহার করলেন এই টেকনিকেরই অনেক উন্নত একটি ভার্সন।অ্যাভাটার সিনেমার বাজেট ছিল প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার যা টাইটানিকের বাজেট থেকেও অনেক বেশী! আর এই সিনেমাটি আয় কত করেছিলেন জানেন? সারা বিশ্ব থেকে সিনেমাটি আয় করে ২.৭৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী!
অ্যাভাটারের এই জনপ্রিয়তা কারণে ২০১০ সালে হলিউডের সবচেয়ে বেশী আয় করা পরিচালকদের মধ্যে এক নম্বরে চলে আসেন জেমস ক্যামেরন। তার মোট সম্পদ তখন ২৫৭ মিলিয়ন ডলার!
জেমস ক্যামেরন সম্পর্কে সমালোচকদের প্রধান যে অভিযোগ সেটা হল তার লেখা স্ক্রিপ্টগুলোর কাহিনীর গভীরতা কম। অভিযোগ অবশ্য মিথ্যা নয়। তবে যে ধরনের সিনেমা তিনি তৈরী করেন, সেখানে কাহিনীর গভীরতা থাকা হয়ত অত আবশ্যকও নয়। এই কারণে সব জায়গায় গভীরতা খুঁজতে যাওয়া লোকেরা হতাশ হতে পারেন তার সিনেমাগুলো দেখে।কিন্তু পরিচালক হিসেবে ক্যামেরনের সমালোচক খুব বেশী নেই। আর্টিস্টদের কাছ থেকে ষোল আনা কাজ আদায় করার ক্ষেত্রে তার জুড়ি মেলা ভার। এই কারণে তার সাথে কাজ করা অনেকের কাছেই দুঃস্বপ্নের মতো। তিনি শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগে সবার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখতে বলেন যাতে তা কাজে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে। কোনো একটা দৃশ্য পছন্দ না হলে বারবার শ্যুট করেন। সিনেমাকে বাস্তবসম্মত করার জন্য জীবন বাজি রাখতেও দ্বিধাবোধ করেন না তিনি। টাইটানিক চলচ্চিত্রের নায়িকা কেট উইন্সলেট তো ঘোষণাই দিয়েছিলেন যে তিনি আর জেমস ক্যামেরনের কোনো সিনেমায় কাজ করবেন না।
নিজের কাজে ডুবে থাকার কারণে পরিবারকেও সময় দিতে পারেননি বেশী একটা। এ কারণে সংসারও ভেঙে গেছে তার। তাও একবার নয়, পাঁচবার!
তবুও জেমস ক্যামেরন থেমে নেই। অ্যাভাটার ২ হয়তো শিগগিরই মুক্তি পাবে। অ্যাভাটার ৩ এবং ৪ ও যে আসবে এরকম ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন। ৬২ বছর বয়সেও যেভাবে এগিয়ে চলেছেন তিনি, তাতে মনে হচ্ছে এটা অসম্ভব কিছু নয়। হলিউডে আরও অনেকদিন চলবে জেমস ক্যামেরনের রাজত্ব এটা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায়।
instant natural viagra coupons for viagra is there a viagra for women
prix cialis 5mg boite 28 foro donde comprar cialis online where to buy generic cialis online
payday loans keller tx payday loan direct lenders only no credit check payday loan bismarck
on line viagra medicare cover for viagra viagra without perscription
fda approved canadian online pharmacies viagra canada no prescription online pharmacy
cholesterol pharmacy online shopping medication costs
cialis 20mg generic cialis for sale the cialis promise program
humana online pharmacy canadian drugstore online best online pharmacies canada
canadian prescription drugs viagra boots canadian viagra
canadianpharmacyusa24h canadapharmacy non prescription online pharmacy reviews
canada pharmacy online reviews allergy online discount pharmacy
lowest price for generic viagra viagra, no prescription viagra where to buy
best viagra sites can i buy viagra over the counter in usa viagra brand
GREAT SELLER!!! FAST DELIVERYPROFESSIONAL SERVICE