নায়ক রাজ রাজ্জাক এর সমাধিতে শিল্পী সমিতির পুষ্পস্তবক অর্পন

218
1304

আনিফা আরশি:

নায়করাজ বললেই তার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকের হৃদয় জয় করে আছেন তিনি। যার মধ্যে ছুটির ঘণ্টার স্কুল দফতরি, জীবন থেকে নেয়ার বিপ্লবী তরুণ, রংবাজ ছবিতে ক্ষয়ে যাওয়া সমাজে প্রতিবাদী এক যুবকের চরিত্র অন্যতম।তিনি ঢাকাই ছবির অহংকার নায়ক রাজ্জাক। জীবনের মানচিত্রে বহুপথ পাড়ি দিয়ে ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি। দেখতে দেখতে তার চলে যাওয়ার আজ তিন বছর হয়ে গেল!নায়করাজের মৃত্যুদিনটিকে ঘিরে চলচ্চিত্রাঙ্গনসহ শোবিজের নানা অঙ্গনে থাকবে শোকের আমেজ। সবাই শ্রদ্ধাভরে নায়ক রাজ্জাককে স্মরণ করবেন আজ। ব্যক্তিগতভাবে তো বটেই নানা সাংস্কৃতিক-চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠনগুলোও ভালোবাসায় সিক্ত করবেন প্রয়াত নায়করাজকে। দেশের রেডিও-টেলিভিশন ও সংবাদপত্রগুলোতেও চোখে পড়বে নানা আয়োজন।তেমনি তার নিজের গড়া সংঘটন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। যেটার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তিনি নিজেই আর তাই শিল্পী সমিতি আজ ও কাল তাকে ঘিরে করছে নানা আয়োজন।রয়েছে পুষ্পস্তবক অর্পন, কুরআন খতম, দোয়া ও মিলাদের আয়োজন।তারই ধারাবাহিকতায় আজ বেলা ১২টাই বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী নায়ক রাজ রাজ্জাক এর সমাধিতে শিল্পী সমিতির কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পন করে।এই সময় উপস্থিত ছিলো মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, সুব্রত, ফরহাদ ও জয় চৌধুরী।১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন রাজ্জাক। যার পুরো নাম আব্দুর রাজ্জাক। কলকাতার থিয়েটারে অভিনয় করার মাধ্যমে রাজ্জাক তার অভিনয়জীবন শুরু করেন। সিনেমার নায়ক হওয়ার অদম্য স্বপ্ন ও ইচ্ছা নিয়ে রাজ্জাক ১৯৫৯ সালে ভারতের মুম্বাইয়ের ফিল্মালয়ে সিনেমার ওপর পড়াশুনা ও ডিপ্লোমা গ্রহণ করেন।
এরপর কলকাতায় ফিরে এসে শিলালিপি ও আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেন। তবে ১৯৬৪ সালে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কবলে পড়ে রাজ্জাক তার পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে রাজ্জাক ‘উজালা’ সিনেমায় পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন।’৬০-এর দশকে সালাউদ্দিন পরিচালিত হাসির সিনেমা ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’-এ একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রাজ্জাক ঢাকায় তার অভিনয়জীবনের সূচনা করেন। এরপর নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে তার যাত্রা শুরু হয় জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন কোহিনূর আক্তার সুচন্দা।
এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি রাজ্জাককে। ৬০-এর দশকের শেষ থেকে ’৭০ ও ’৮০-এর দশকে জনপ্রিয়তার চূঁড়ায় ওঠেন রাজ্জা। একে একে নায়ক হয়েছেন তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে। রাজ্জাক অভিনীত দর্শকনন্দিত সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে নীল আকাশের নিচে, ময়নামতি, মধুমিলন, পিচঢালা পথ, যে আগুনে পুড়ি, জীবন থেকে নেয়া, কী যে করি, অবুঝ মন, রংবাজ, বেঈমান, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, অনন্ত প্রেম, বাদী থেকে বেগম ইত্যাদি।

218 COMMENTS

  1. подъемная платформа
    [url=https://gidravlicheskiye-podyemnyye-stoly.ru]http://gidravlicheskiye-podyemnyye-stoly.ru/[/url]

  2. телескопическая вышка
    [url=https://podyemniki-machtovyye-teleskopicheskiye.ru]https://podyemniki-machtovyye-teleskopicheskiye.ru[/url]

  3. электро рохля с подъемным механизмом
    [url=https://samokhodnyye-elektricheskiye-telezhki.ru]http://www.samokhodnyye-elektricheskiye-telezhki.ru[/url]

  4. Thank you for the sensible critique. Me and my neighbor were just preparing to do a little research on this. We got a grab a book from our area library but I think I learned more clear from this post. I’m very glad to see such wonderful info being shared freely out there.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here