অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখেছে মলিউড। আর তাকে দেখে শিখুক ঢালিউড

29
886

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে দাঁড়ানো একটি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেকে একে বলেন মলিউড। মালায়ালাম সিনেমাগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রির গোঁড়া পত্তন হয় বেশ আগেই, প্রায় ১৯২০ সালে। কিন্তু পরিচিতি পায় ১৯৪০ সালের দিকে। এই মুভি ইন্ডাস্ট্রি কেরালায় অবস্থিত। যদিও মাঝে এটি চেন্নাই এ স্থানান্তর করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে আবার কেরালায় ফিরিয়ে আনা হয়।
কেরালা স্টেট গভর্মেন্ট মালায়ালাম সিনেমা নির্মাণে অনেক সাহায্য করেছে সবসময়। ভারতের প্রথম থ্রিডি ছবি মাই ডিয়াম কুট্টিচাথান (১৯৮৪) এই ইন্ডাস্ট্রির নির্মান। এছাড়াও আরো কিছু ‘প্রথম’-এর সাথে জড়িয়ে আছে মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নাম। নারাসিমহাম (২০০১) হল প্রথম কোনো সিনেমা যাতে কেবল একজন অভিনেতা আছেন। জালাছায়াম (২০১০) সেলফোনের ক্যামেরায় শ্যুট করা পৃথিবীর প্রথম চলচ্চিত্র। ভিলেন (২০০৭) ভারতের প্রথম আট হাজার রেজোলিউশনের ছবি।

সিনেমা সমালোচকদের মতে আশি আর নব্বই-এর দশক ছিল মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রির স্বর্ণযুগ। এরপর প্রায় একযুগেরও বেশি সময় ধরে এই ইন্ডাস্ট্রি ধুঁকে ধুঁকে প্রায় শেষের পথে চলছিলো। হয়তো হারিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু না তেমন কিছু হয়নি।
একদল তরুণের হাত ধরে পুনঃজন্ম লাভ করে মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রি। মূলত ২০১০ সালকেই পুনর্জন্মের সময় বলা যায়। অনেকটা ফিনিক্স পাখির মত ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে আসে এই ইন্ডাস্ট্রি। এরপরের ইতিহাস কম-বেশি সবারই জানা। একদম মৌলিক গল্প, ইউনিক স্টোরিটেলিং, দারূণ সিনেমাটোগ্রাফির কারণে মালায়ালাম মুভিগুলো এখন বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ভাষার বাধা কোনো বাধা হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। বলা হয় রাজেশ পিল্লাইয়ের ট্রাফিক (২০১১) মালায়ালাম ছবি গুলোর ট্রেন্ড সেট করে দিয়েছিলো। আমাদের উপমহাদেশের সিনেমা মানেই নাচ,গান, নায়কের উড়ে যেয়ে মারামারী করা, সুন্দরী নায়িকার ছোট ছোট কাপড়, পার্টি সং, আইটেম সং বা হালের রিমিক্সের জোয়ার।
সেখানে মালায়ালাম মুভিগুলো এসব ছাড়াই নিজেদের স্থান আলাদা করে চিনিয়েছে। কিন্তু পথটা যে খুব মসৃণ ছিলো তা কিন্তু নয়। প্রেমাম (২০১৪) মুভি নিয়ে একটা ঘটনা বলি। মুভিটির বাজেট ছিলো পাঁচ কোটি আর কালেকশন ষাট কোটি। মুভিটি ব্লকব্লাস্টার হিট ছিলো। কিন্তু সাউথের বিশেষ করে কেরালার অনেক জায়গায় মুভিটি চলেনি।

কারণ, দর্শকরা জুনিয়র ছাত্রের সাথে শিক্ষিকার অসম প্রেম মেনে নিতে পারেনি। অপরদিকে সিনেমাটি তামিল নাড়ুতে ম্যাসিভ হিট হয়। তামিল নাড়ুতে প্রোটেস্ট হয় ,এই মুভিটিকে পুরস্কার দেবার জন্য! পরে এটি তেলেগু ভাষায় রিমেক করা হয়। আমি এই সিনেমায় গালে ব্রণের দাগওয়ালা নাইকা আর তার অভিনয় দেখে যারপর নাই অবাক এবং মুগ্ধ হয়েছিলাম!

হিন্দি অনেক মুভি মালায়ালাম মুভির রিমেক। এই তালিকায় গারাম মাসালা, বিল্লু, কিউ কি, ভুল ভুলাইয়া, হেরা ফেরি কিংবা বডিগার্ড-সহ অনেক ছবিই আছে।
এই মুভি ইন্ডাস্ট্রির মতো বাংলাদেশের মুভি ইন্ডাস্ট্রির লাগাম কিছু নতুন মানুষ ধরুক এমন আশা করছি।

29 COMMENTS

  1. 994989 406636Hi my loved 1! I want to say that this article is amazing, great written and include almost all vital infos. I would like to peer far more posts like this . 869680

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here